Buyers of Bangladeshi Textile & RMG sector | বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বায়ারের A to Z

বাংলাদেশ থেকে তৈরীকৃত পোশাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। সেসকল দেশের যাদের সাথে যোগাযোগ করে আমরা উৎপাদিত পোশাক রপ্তানি করে থাকি তাদেরকেই মূলত বায়ার বলা হয়। প্রতিটি বায়ারের নির্দিষ্ট কোম্পানি প্রফাইল, লোগো থাকে এবং বায়াররা সাধারণ বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক তাদের লোগো সংযুক্ত করে বানিয়ে নিয়ে তা বিভিন্ন দেশে তাদের রিটেইল শপ গুলোতে বিক্রি করে থাকে। সাধারণত বায়ার রাই একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রাণ কেননা যে প্রতিষ্ঠানে যত বেশি বায়ার থাকবে সেই প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরনেও ততো বৈচিত্র আসবে। কিছু কিছু বায়ার কমপ্লায়েন্স ইস্যু নিয়ে যথেষ্ট সোচ্চার এ-কারণে দিন দিন গ্রিন ফ্যক্ট্ররির পরিমান বাড়ছে এবং শ্রমিকরা একটি সুন্দর কর্ম পরিবেশ পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন করার সময় ও যাচাই করা হয়ে থাকে যে প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত বায়ার কোন কোন প্রতিষ্ঠান। কেননা ভালো বায়াররা সবসময় গুনগত মান এবং কারখানার কর্ম পরিবেশ বিবেচনা করে তাদের কাজের অর্ডার দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে USA, UK, Sweden, Spain, Canada, France, Poland, Hong Kong, Germany, Denmark, India, Italy, Netherlands, Japan, Australia সহ আরো অনেক দেশের বায়ার পোশাক বানিয়ে নিচ্ছে কিন্তু এর মধ্যে আমাদের টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস শিল্পের সব থেকে বেশি বায়ার ইউরোপ এবং আমেরিকা হতে আগত।

কিছু জনপ্রিয় বায়ার এর নাম উল্লেখ করা হলোঃ

USA:
1. GAP
2. Kmart
3. Walmart
4. Levis
5. American Eagle
6. Jcpenney
7. Tommy Hilfiger
8. VF Asia
9. Nike
10. Target
11. Old Navy
12. PVH
13. Academy sports+outdoors
14. US polo
15. Perry Ellis
16. Terco
17. F.W. Woolworth
18. Quiksilver
19. Francesca’s

Sweden:
1.H&M
2. Lindex

Spain:
1. Zara
2. neck & neck
3. Women’secret

Japan:
1. Uniqlo
2. Sumitomo

Switzerland:
1. Intersport

Germany:
1. Addidas
2. Puma
3. C&A
4. S. Oliver
5. Hugo Boss
6. NKD
7. Tom Tailor
8. Erima
9. Multiline
10. OBS
11. Katag
12. Ulla Popken
13. New Yorker
14. Mister*Lady

Hong Kong:
1. Li & Fung
2. Esprit
3. Giordano

Belgium:
1. C&A

Netherlands:
1. G-Star raw
2. Shoeby

Denmark:
1. IC Group
2. b. young

Canada:
1. BlackBerry
2. Hudson’s Bay

Italy:
1. Kappa
2. Carrera
3. Matteo
4. Liu .jo
5. Silvian Heach

Czech Republic:
1. Adler

India:
1. Raymond
2. Peter England

UK:
1. Next
2. Tesco
3. ASDA
4. M&S
5. Sainsbury’s
6. Umbro
7. New Look
8. Grenville
9. EWM

Turkey:
1. Tema

France:
1. Decathlon Group
2. Coline
3. Octagon
4. Kiabi
5. Brice
6. Jules
7. Monoprix
8. Pierre Cardin
9. Etam
10. Auchan

ব্যবসায়ীরা প্রথম অবস্থায় বায়ার খুঁজে পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন, বায়ার খুঁজে পাওয়ার কিছু পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

১. একটি দেশের ব্যবসা বানিজ্যের সকল তথ্য দেওয়া থাকে ইয়েলো পেজেস বা বিজনেস ডিরেক্টরিতে। বর্তমানে ই-ইয়েলো পেজেস চালু হয়েছে অনেক দেশে, এটি হলো বিজনেস ডিরেক্টরির অনলাইন ভার্সন।
সেই দেশে প্রডাক্ট এক্সপার্ট করতে চাচ্ছেন সেই দেশের বিজনেস ডিরেক্টরি থেকে এড্রেস নিয়ে বায়ারদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

২. বিভিন্ন মেলা বা এক্সিবিশন ফেয়ার থেকে বায়ার খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

৩. যে দেশের বায়ার পেতে চাচ্ছেন সেই দেশের এম্বাসি তে নিজেদের বিজনেস প্রফাইল বিজনেস এটাচির কাছে জমা দেওয়ার মাধ্যমে।
বিজনেস এটাচি হচ্ছে এম্বাসির একজন কর্মকর্তা যিনি তার দেশের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য কাজ করে থাকেন।

৪. যে দেশের বায়ার পেতে চাচ্ছেন সেই দেশের বাংলাদেশী এম্বাসির বিজনেস এটাচির কাছে বিজনেস প্রফাইল জমা দেওয়া যেতে পারে।

৫. যে দেশে ব্যাবসা করবেন ওই দেশে যদি কাছের বা দূরের আত্মীয় স্বজন বা পরিচিত জনের মাধ্যমে বায়ার খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

৬. বাংলাদেশ এর এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো এর সাথে যোগাযোগ করে বায়ার খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো রপ্তানিকে উৎসাহিত করার জন্য কাজ করে থাকে।

৭. বায়ারের ঠিকানা সংগ্রহ করে সরাসরি বায়ারের কাছে গিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

৮. সব থেকে সহজ পদ্ধতি হলো বিভিন্ন বায়িং হাউজে যোগাযোগ করে বায়ার খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

৯. বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বায়ারদের সাথে যোগাযোগ করে বায়ার খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

১০. বিভিন্ন B to B website ব্যবহার করে বায়ার খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। B to B website এ ব্যাবসায়ীদের সাথে ব্যবসায়ীদের লিংকড হয়। Alibaba, e-world, made-in-china, global sources ইত্যাদি B to B website রয়েছে।
B to B websites এ একাউন্ট ওপেন করে নিজেদের পন্য ডিসপ্লে করে বায়ার খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

বায়ার পাওয়ার পর থেকে প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেওয়া পর্যন্ত নিম্নোক্ত কাজ গুলো করা হয়ে থাকেঃ

– ফ্যক্ট্ররিকে প্রথমে সেম্পল ডেভেলপ করতে হয়।
-সেম্পল ডেভেলপমেন্ট এর পরে তা বায়ারের কাছে পাঠিয়ে বায়ার এপ্রুভাল নিতে হয়।
-বায়ার সেম্পল এপ্রুভাল দিলে প্রাইস নেগোসিয়েশন এর মাধ্যমে অর্ডার কনফার্ম করা হয়।
– অর্ডার কনফার্ম হলে বায়ার সেলারকে master L/C প্রদান করে থাকে।
– সেলার তারপর master L/C এর উপর ভিত্তি করে অর্ডারে জন্য raw materials সংগ্রহ করে থাকে।
– ম্যটেরিয়াল সাপ্লাইয়ারদের Back to Back L/C করে অর্ডার কনফার্ম করা হয় এবং নির্দিষ্ট TNA=Time and Action সীট অনুযায়ী ম্যটেরিয়াল কালেক্ট করা হয়ে থাকে।
– তারপর actual trims & accessories দিয়ে বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী PP Sample বানিয়ে বায়ারের থেকে এপ্রুভাল নিতে হয়।
– PP sample এ প্রব্লেম থাকলে অথবা বায়ারের চাহিদামতো না হলে বায়ার উল্লেখ করে দেয় এবং সেই প্রব্লেম সমাধান হলে বায়ার বাল্ক প্রোডাকশন এর জন্য এপ্রুভাল দিয়ে থাকে।
– তারপর বায়ারের স্পেসিফিকেশন চার্ট অনুযায়ী size set sample তৈরী করা হয়।
– Bulk Production এর পূর্বে buyer nominated person এবং ফ্যক্ট্ররির প্রোডাকশন ম্যনেজমেন্ট এর সমন্বয়ে একটি PP meeting হয়ে থাকে।
– PP meeting শেষে Bulk Production শুরু হয় এবং TNA শীট এর সময় অনুযায়ী production শেষ করতে হয়।
-Sewing production এবং garments finishing চলাকালীন সময় buyer nominated ব্যক্তি inline inspection করে থাকে।
– Buyer nominated person প্রোডাকশন শেষে final inspection শেষে বায়ারের কাছে inspection report পাঠিয়ে থাকে।
– Inspections report বায়ার এপ্রুভ করার পর বায়ার তার nominated shipping forwarder এর সাথে যোগাযোগ করে Shipping Approval দিয়ে থাকে।
– তারপর ফ্যক্ট্ররি থেকে buyer nominated forwarder এর সাথে যোগাযোগ করে শিপমেন্ট করা হয়।

সর্বোপরি বায়ারের কাজ করার পর কাজের গুনগুত মান বজায় রাখতে পারলে এবং বায়ার প্রদত্ত কমপ্লায়েন্স নীতিমালা মেনে কাজ করলে বায়ার সাপ্লাইয়ারের প্রতি একটি আস্থা অর্জন করে এবং এভাবেই নতুন একটি বায়ারকে পারমানেন্ট বায়ারে পরিনত করা যায়।

Writer: Wayaze Ahmad Ripon

Chief Coordinator , Bunon

Textile Engineering College Noakhali