অএ দেশের সকল জাতীয়করণকৃত পাটকলসমূহ নিয়ন্ত্রণ, পরিদর্শন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান (জাতীয়করণ) আদেশ ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ২৭, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ-১০ অনুসারে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বোর্ড অব ডিরেক্টরস কর্তৃক বিজেএমসি পরিচালিত হয়।
বর্তমানে এ সংস্থার অধীনে ৩টি নন জুট প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২৬টি মিল রয়েছে। ঢাকা অঞ্চলের অধীনে ৭টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধীনে ১০টি এবং খুলনা অঞ্চলের অধীনে ৯টি মিল রয়েছে। আঞ্চলিক মিলসমূহ দেখাশোনা ও সমন্বয়ের জন্য বিজেএমসির দুটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।প্রতিটি মিলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনের জন্য চেয়ারম্যান বা বিজেএমসির যেকোনো পরিচালক এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি ও ব্যাংকের মনোনীত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি করে পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ সংশ্লিষ্ট মিলের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করে থাকেন। এছাড়া সদস্যগণ মিল সুষ্ঠ ও দক্ষভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।যে সমস্ত অঞ্চলে পাট উৎপাদিত হয়, সে সমস্ত এলাকায় ১৮২টি পাটক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে বিজেএমসি পাট ক্রয় করে।

বৃহত্তম পাটপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিজেএমসি প্রধানত হেসিয়ান কাপড়, ব্যাগ, বস্তার কাপড়, বস্তা, সুতা, জিও-জুট, কম্বল, মোটা কাপড়, সিবিসি ইত্যাদি প্রস্তুত করে থাকে, যা সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক তন্তুজাত। বিজেএমসির বিক্রয়বিভাগ এ সকল পণ্য দেশী ও বিদেশী ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে থাকে। এভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিজেএমসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমানে বিজেএমসি জনবলের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

এ সংস্থার প্রায় ৭০,০০০ শ্রমিক এবং ৫,৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী সরাসরি নিযুক্ত রয়েছে। পরোক্ষভাবে তাদের মাধ্যমে প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষি পরিবার জীবীকা নির্বাহ করে থাকে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এদেশের ৫ কোটিরও অধিক সংখ্যক মানুষ পাট ও পাটশিল্পের উপর নির্ভরশীল এবং সেজন্যই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিজেএমসি সর্বদা সংকল্পবদ্ধ।
Reporter: Abir Mohammad Sadi BUTEX Sr.Campus Ambassador, BUNON