দীর্ঘদিন পর ইউরোপ আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি উন্নতি ও পরিবর্তিত ভু-রাজনিতিসহ ৬ কারনে তৈরি পোশাকের প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে বাংলাদেশে। আগামী ২ বছরের জন্য আরও অর্ডারের চিন্তা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা। আমেরিকায় অনলাইন কেনা-কাটা ৭৬ শতাংশ বেড়ে গেছে। প্রায় সকল মার্কেটও খুলে গিয়েছে। সে থেকে শিল্প মালিকরা ধারণা করছে সামনে আড়ও অর্ডার আসতে যাচ্ছে। জুলাই মাসের শেষ থেকে অর্ডারের পরিমাণ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়ছে।
করোনা পরিস্থিতি ও ভু-রাজনীতিগত কারণে চীন ও মিয়ানমারে পোশাক ক্রয়াদেশ আগের থেকে কমেছে। এদিক থেকে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম কিছুটা এগিয়ে থাকলেও নিয়ন্ত্রণহীন করোনার জন্য পিছিয়ে আছে ভারত। সর্বোচ্চ সংখ্যক পরিবেশ বান্ধব কারখানা এবং কম দামের জন্য বায়াররা তাই বাংলাদেশকেই বেছে নিচ্ছে। এ অবস্থায় কম দামে অর্ডার না নিতেই সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমালিকদের সংগঠন বি জি এম ই এ। তবে এত এত অর্ডার আশা দেখেও চিন্তিত হয়ে পড়েছে শিল্পমালিকরা। তার প্রথম কারণ করোনা প্রতিরোধে সারাদেশে লকডাউনে সকল তৈরি পোশাক কাড়খানা বন্ধ এবং দ্বিতীয় কারণ চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে রপ্তানি পণ্যের কন্টেইনার সংকট।
ফিনেস অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ দানিয়াল বলেন, “কোভিড -১৯ বিভিন্ন ভাবে পোশাক খাতকে প্রভাবিত করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি সাপ্লাই চেইন ভেঙে দেয় কারণ আমরা আমাদের বেশিরভাগ কাঁচামালের জন্য চীনের উপর নির্ভরশীল থাকি।“
তিনি আরও বলেন, “তবে রফতানি এখন ফিরে আসতে শুরু করেছে। ইউরোপে চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী রফতানির পরিসংখ্যান দেখতে শুরু করবে। এটিই নতুন বাস্তবতা যার জন্য আমাদের প্রস্তুত হওয়া দরকার।“
যত দ্রুতসম্ভব গার্মেন্টস কর্মীদের কোভিড -১৯ এর টিকা দেয়া সম্ভব হবে তত দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারবে বলে মনে করছেন শিল্পমালিকরা।
রিপোটার:
মাসুম আহমেদ
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সটাইলস (বুটেক্স)
ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর, বুনন