ফরাসী পার্লামেন্ট সম্প্রতি একটি জলবায়ু বিল অনুমোদন দিয়েছে যা পোষাক, টেক্সটাইলসহ সকল ধরণের পণ্য এবং পরিষেবায় “কার্বন লেবেল” এর প্রয়োগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর পিছনে প্রধান উদ্দেশ্য হল – গ্রাহকদের তাদের ক্রয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তাদের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করা। ফ্রান্স গত বছর একটি “এন্টি-ওয়েস্ট” (Anti-Waste) আইনের আওতায় বিভিন্ন ব্র্যান্ড কে নিষিদ্ধ এবং সেই সাথে তাদের অবশিষ্ট স্টক ধ্বংস করে দেয়।
উক্ত আইন প্রণয়ন এর পিছনে বিশেষভাবে প্রভাব রেখেছে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক ছড়িয়ে পড়া মারাত্মক বন্যা – যা তাদের শহরগুলিকে ডুবিয়ে দেয় এবং প্রায় ২০০ মানুষ মারা যায়। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর পর থেকেই মূলত ফ্রান্স নড়েচড়ে বসেছে।
২০১৮ সালে, দ্যা ফ্রান্স এজেন্সি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড এনার্জি ম্যানেজমেন্ট (এডিইএমই) একটি লেবেলিং সিস্টেম চালু করেছে যেখানে গার্মেন্টসকে গ্রেড করা হয়েছে এ (A) থেকে ই (E) পর্যন্ত লেটার অথবা বর্ণের মাধ্যমে। উক্ত সিস্টেম অনুযায়ী, এ (A) হচ্ছে সবচেয়ে টেকসই এবং ই (E) হচ্ছে তুলনামূলক কম টেকসই। ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুসংস্থানান্ত্রিক মন্ত্রণালয়ের টাইমলাইন অনুসারে ২০২৩ সালের মধ্যে অনুরূপ স্কিম বাধ্যতামূলক করা হবে – বলে এমনটা তারা ধারণা করছে।
দেশটিতে প্রায় দশক ধরে চলা পুরনো “বর্ধিত উৎপাদনকারী দায়িত্ব” বিষয়ক একটি আইন চালু আছে, যার অধীনে বিভিন্ন ব্যবসাগুলিকে তাদের সারাজীবন ধরে উৎপাদিত করা পোষাক, টেক্সটাইল এবং ফুটওয়্যার পুর্ণব্যবহার সরবরাহ বা পরিচালনা করতে হয়।
এডিইএমই এর অনুমান, প্রায় ৬ ২৪,০০০ মেট্রিক টন টেক্সটাইল – ২.৬ বিলিয়ন এর সমতুল্য পরিমাণ টুকরো কাপড়, গৃহস্থালীন লিনেন এবং জুতো প্রতিবছর ফ্রান্সের বাজারে রাখা হয়।
লিখেছেন:
আসিফ-আল-জামান
আন্তর্জাতিক নিউজ রিপোর্টার, বুনন – Bunon
চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি।