সাধারনত যে সকল খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো জুতা ও পোশাকের জন্য ভিয়েতনামের কারখানাগুলোর ওপর নির্ভরশীল তারা ভিয়েতনামের বিধিনিষেধের ব্যাপারে খুবই চিন্তিত। যদিও আশংকা করা হচ্ছে ভিয়েতনামের কারখানাগুলো হয়ত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পুরোপুরি কাজে ফিরবে। কিন্ত বিশেষজ্ঞরা বলছে, বিধিনিষেধ খুলে দিলেও ভিয়েতনামের কারখানাগুলোর তাদের আগের পরিস্থিতিতে আসতে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় লাগবে। যার কারনে খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান গুলো লোকসানের সম্মুখীন হতে পারে বলে ধারনা করা যায়।
সিএনবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোতে ডিসেম্বর মাস হলো ছুটির সময়। এছাড়া বড় দিনকে সামনে রেখে এ সময় দেশগুলোতে রমরমা থাকে পণ্যবাজার। যার কারনে বড় বড় ব্র্যান্ডগুলো এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। তাদের সব থেকে বেশি পন্য বিক্রি হয় এসময়। কিন্তু এইসম যদি ভিয়েতনামের বিধিনিষেধ তুলে না নেওয়া হয় তাহলে কারখানাগুলো সময়মত পন্য উৎপাদন এবং সরবরাহ করতে ব্যর্থ হবে। তাহলে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান গুলোকে। আর তাই এখন থেকেই বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছে বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
কয়েক বছর ধরে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য উৎপাদনের জন্য চীন থেকে সরে এসে ভিয়েতনামে বিনিয়োগ শুরু করে। কিন্তু ভিয়েতনামের এই পরিস্থিতির কারনে অনেকেই চীন থেকে ভিয়েতনামে উৎপাদন ব্যবস্থা সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে।
অনেক বড় বড় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে অন্য দেশের দিকে ঝুঁকছে। যা বাংলাদেশের জন্য একটি অপার সম্ভাবনা। আমরা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো আরো উন্নত করতে পারি।
বাংলাদেশের পোশাক খাত এখন প্রথম সারির। কিন্তু করোনা মহামারী কারনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশও কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আর ভিয়েতনামের বিকল্প দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিত হতে হলে আমাদের কোভিড-১৯ এর সকল জড়তা কাটিয়ে উঠেতে হবে। এছাড়া চলমান মহামারীতে অনেক দেশের ক্রেতাদের পণ্যের চাহিদায় পরিবর্তন হয়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে এখন মৌলিক পণ্যের চেয়ে সোয়েটার, স্মক ড্রেস, সোয়েটপ্যান্টের মতো পণ্যের চাহিদা বেশি। নতুন এসব পণ্যের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের চেয়ে ভিয়েতনাম অনেক বেশি সফল। বাংলাদেশকে এদিকে লক্ষ্য রেখে পন্য উৎপাদন করতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ শক্তভাবে ভিয়েতনামের জায়গা দখল করতে সক্ষম হবে।
রিপোর্টার:
আব্দুল কাদের জিলানী
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর, বুনন