সোনালী আঁশ পাট যা একসময় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি ছিল কিন্তু কালের বিবর্তনে এটির রপ্তানির শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যান্য দেশগুলিতে পাট এর বিকল্প পণ্য যেমন প্লাস্টিক এবং হেম্প এর মতো পণ্যের ক্রমাগত আগ্রাসনের কারণে পাটের ব্যাবহার কমে যাচ্ছে এবং পাটের রপ্তানি হ্রাস পাচ্ছে । ২০১৮ সালের মধ্যে, বিশ্বজুড়ে পাটের মোট উৎপাদনের ৩৩ শতাংশ বাংলাদেশ উৎপাদন করে। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ১৮৪০ এর দশকে বাংলায় অনেক বড় আকারে পাট চাষ শুরু হয়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় এবং পাট শিল্পের বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণে বাংলাদেশ সরকার ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাট পণ্যকে বহুমুখী পাটজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বজায় রাখার লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০, ‘পাট আইন, ২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ৩০ এ মে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনলায় “ সোনালী আঁশ” নামক একটি এপস সেবা চালু করে। যার মধ্যমে পাট সম্পর্কে বিস্তারিত জানা, পাটজাত ব্যবসার লাইসেন্স এর জন্য আবেদন এবং লাইসেন্স নবায়ন করা সম্ভব হবে। জুট ডিপার্টমেন্ট অব ব্যাংলাদেশের পাট বিভাগের লাইসেন্সিং পরিষেবা প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন ও সরলকরণের উদ্দেশ্যে এই মোবাইল এপসটি তৈরি করা হয়েছে। এপস টির মধ্যমে আরো যে সকল পরিসেবা পাওয়া যাবে:
– লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা
– লাইসেন্স নবায়ন করা
– অনলাইনে ফি প্রদান করা
– পাট আবাদ, রোগ, পাটের ব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য।
আশা করা যাচ্ছে সেবা সহজ হওয়ার ফলে নতুন বিনিয়োগ আসবে, পাট এবং পাটজাত পণ্য সম্পর্কে মানুষ বিস্তারিত জানবে এবং পাট ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স এর আবেদন আরও সহজতর হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ বাংলাদেশ সরকারকে এতো সুন্দর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।
রিপোর্টার :
জারিন তাসনিম সুপ্তি
ন্যাশনাল এফেয়ারস টিম, বুনন
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি।