বিজ্ঞানীরা এখন বিভিন্ন গবেষণা নিয়ে ব্যাস্ত। টেক্সটাইল জগত ও এখন আর ফ্যাক্টরিতে সীমাবদ্ধ নেই। বিভিন্ন ধরনের গবেষণা হচ্ছে, উম্মোচিত হচ্ছে নতুন দোয়ার। এক্ষেত্রে মেডিকেল টেক্সটাইল এগিয়ে রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে টেক্সটাইল এর সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে মেডিকেল টেক্সটাইল। গবেষকেরা এখন বেশি গবেষণা করছে হিউম্যান টেক্সটাইল নিয়ে।
তার মধ্য যে বিষয়টি এগিয়ে আছে সেটি হল ” মানব ত্বক থেকে সুতা তৈরি”। এটাকে ব্যাবহার করা যেতে পারে সার্জারি এর ক্ষেত্রে। ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল রিসার্চ-এর একদল গবেষক মানব ত্বকের কোষ থেকে সূতা আবিষ্কার করেছে, যেগুলিকে তারা নাম দিয়েছে “হিউম্যান টেক্সটাইল”। তারা বলেছে যে, এটি সার্জনরা ক্ষত বন্ধ করতে বা ত্বককে একত্র করতে ব্যবহার করতে পারেন। “এই হিউম্যান টেক্সটাইলগুলি জৈব-সামঞ্জস্যের একটি অনন্য স্তরের প্রস্তাব দেয় এবং সম্পূর্ণ জৈবিক টিস্যু-প্রকৌশলী পণ্যগুলির একটি নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করে,” গবেষকরা অ্যাক্টা বায়োমেটরিয়া জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে লিখেছেন।

এই সুতার মূল সুবিধাটি হ’ল প্রচলিত সিন্থেটিক সার্জিকাল উপকরণের বিপরীতে, উপাদানটি প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না এবং এটি নিরাময় প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে তুলতে পারে। এটি তৈরির জন্য, গবেষকরা মানব ত্বকের কোষগুলি দীর্ঘ স্ট্রিপগুলিতে কাটেন – এবং তারপরে এগুলি সুতোর মতো উপাদানে বুনন করেন যা বিভিন্ন আকারে তৈরি করা যায়। অনেকটা ব্যাগ সেলাইয়ের মত।
বিভিন্ন প্রাণির ফাইব্রোব্লাস্ট সেল এই ক্ষেত্রে ব্যভার করা যেতে পারে। এটাকে ল্যাবরেটরিতে ত্বকের শিট তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। এই শিটগুলো পরবর্তীতে রিবন বা ফিতা আকারে কাটা হয়। এখান থেকে বিভিন্ন রকম সুতা বানানো যায় এবং এটাকে সার্জারিতে ব্যবহার করা যাবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা যেহেতু সিন্থেটিক কিছু না না, তাই এটাকে ব্যাবহার করলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এখনও অবধি গবেষকরা ইঁদুরের ক্ষত সেলাই করতে এই সুতা ব্যবহার করেছেন এবং এটি দুই সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি নিরাময় হয়েছে।
Writer: Md. Zamil Mia STEC Campus Ambassador, Bunon